মনে পড়ে
-সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
মনে পড়ে, একসময় দিনের পর দিন
কত চিঠি লিখতাম নানান সম্বোধনে
মনে পড়ে?
সেসব পেরিয়ে এসেছি দুজনে
সন্ধ্যা নেমেছে ধীরে।
আঁধার দুয়ারে বসে আছি একা
তোমাকে একটুকু দেখার আশায়।
বোবা হৃদয় বোঝেনা কিছুতেই
চোখের জল শুকিয়ে কাঠ
ব্যাকুলা কোকিলার মত শীতের শেষে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
জানি এই অকারণ বিষাদভরা দিনের কথা
তুমি জানবে না, মানবেও না
তবু বিলাপে বিলাপে চিত্ত আমার আজও
অপেক্ষা রত তোমাকে দেখার আশায়।
অনুশাসনে বাঁধা তোমার চুল
শাড়ির আঁচল তন্বী তনু কটি তট
ধীর পদক্ষেপ বাঁকা চোখ ঔদাস্য প্রেম
বৃথা হাসির মৃদু সংকেত
গুচ্ছ গুচ্ছ বইয়ের স্হির সুবাস
ঘামে ভেজা ভিজে রুমাল
আহ্লাদ মাখা আলতো ছোঁয়া
হঠাৎ না বলা কথার মধুর স্বপন
সবই আজও ঢেউ তোলে শিরায় শিরায়।
অথচ কখনো সিনেমাহলে পার্কের সবুজ বিছানায়
কিংবা ইডেনে ,আউটরাম ঘাটের ছলাৎ ছলাৎ
ঢেউয়ের ছুতোয় একদিন
দিয়েছিলে চামেলির গন্ধ
কাব্যে নয় বাস্তব ছন্দে
শুনেছিলাম স্বপ্নের তরঙ্গ।
আজ পারিনা কি অনুকৃতি ললাটে
এঁকে দিতে দগ্ধ হৃদয়ের
সেই অনুচ্চারিত কটা কথা?
এ- ও সেই চিঠি
জবাব না পেলেও জানব
তোমার কৈফিয়ত শুধু তুমি -ই॥
আর এই পড়ন্ত বেলায় হার মানব
বাস্তবের কঠিন নির্মম
ঘুরন্ত জাঁতাকলে।
জানি তুমি শশী তুমি আকাশ
আমি বাসিফুলের মালা
আমার প্রতি ছিলো তোমার
বৃথা আশ্বাস॥
মনে পড়ে? হে অতীত
হে ক্ষণিক
নৈঃশব্দের প্রিয়া ?